বাউফলে সরকারী দপ্তরে ফ্লাগ স্ট্যান্ড আছে; পতাকা নাই !

বাউফলে সরকারী দপ্তরে ফ্লাগ স্ট্যান্ড আছে; পতাকা নাই !

এম অহিদুজ্জামান ডিউক, প্রতিনিধি বাউফল:  পটুয়াখালী বাউফলের অধিকাংশ সরকারি অফিস ভবনের সামনে ফ্লাগ স্ট্যান্ড থাকলেও প্রতিষ্ঠান গুলোতে কার্যদিবস কালীন সময়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়না। উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারি অধিকাংশ অফিস সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে ধৃষ্টতা দেখানো হচ্ছে বলে করছেন স্থানীয় সূধী মহল। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা, মৎস্য, বিএডিসি ও আনসার ভিডিপি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এরমধ্যে এলজিইডি অফিস ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ছাড়া অন্য অফিসগুলোতে ফ্লাগ স্ট্যান্ড নেই। অথচ সরকারী এসব দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এ বলা হয়েছে, জাতীয় ও বিশেষ দিবস ছাড়াও প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবন এবং অফিস সমূহে যেমন, রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন প্রভৃতি, সকল মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সচিবালয় ভবন সমূহ, হাইকোর্টের অফিস সমূহ,জেলা ও দায়রা জজ আদালত সমূহ, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/ কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ অফিস সমূহ, কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারসমূহ, পুলিশ স্টেশন, শুল্ক পোস্ট অফিস সমূহ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এই রকম অন্যান্য ভবনে সরকার কর্তৃক সময় নির্ধারিত ভবন সমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করতে হবে। এ ব্যাপারে বাউফল থানা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তালুকদার ক্ষোভের সাথে বলেন,‘ ৩০ লাখ তাজা প্রান ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনীময় আমরা এ লাল সবুজের পতাকাটি অর্জন করতে পেরেছি। সরকারী কর্মকর্তাদের এহেন আচরন খুবই দুঃখজনক।’ বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাচ্চু জানান, সরকারী দপ্তরের অনেক কর্মকর্তারা সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না; জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়তো ভুলে গেছে! এ বিষয়ে ইউএনও জাকির হোসেন জানান, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনিক ভবনে একটি পতাকা টানালেই হয়; অন্যদের প্রয়োজন হয়না। তবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে আলাদা ভাবে টানাতে পারে।